কলকাতায় থাকার সময় পাশের বাড়ির ঠাকুমা প্রায়ই ছাদে উঠে বলতে শুরু করতেন, বলি ও নাত বউ – বিয়ে তো কয়েক বছর হলো। আমি চোখ বোঁজার আগে একটু পুতির মুখ দেখে যাই। একটা গ্রাম্য সরলতা ছিল, সেই অপত্য স্নেহ থেকেই তিনি বলতেন – এটা জলের মত পরিস্কার। তাঁকে বোঝাবার চেষ্টা করিনি যে কিছু সিদ্ধান্ত আমরা দুজনে…
সরস্বতী পুজো – আমার ভ্যালেন্টাইন
স্কুল ছুটি চারটে দশ। ঠিক চারটে পঁচিশে তার রিকশা যায় বড় রাস্তা দিয়ে। কুড়ি মিনিটের রাস্তা দৌড়ে আসতাম পনেরো মিনিটে। অনেক দিন হয়েছে দেখতে পাইনি, হয়তো একটু আগেই পেরিয়ে গেছে অথবা আজ সে স্কুলেই যায়নি। যেদিন দেখা হতো, কোনোদিন সে একটু হাসত আবার কোনোদিন দেখেও দেখত না। সুন্দরী ছিল বলে চাপা একটা অহংবোধ ছিল। প্রথম…
হারান মাস্টারের পাঠশালা
জেলার শেষপ্রান্তে এই বন্দিপুর রোড স্টেশন। লোকজনের খুব একটা যাতায়াত নেই এই রেললাইনে। কিন্তু কাছেই পলাশবীথি হাট বসে বলে দুটো মালগাড়ি দিনে থামে এখানে, একটা সকালে আর একটা মাঝরাতে। এই দু’বার বাইরে বেরিয়ে সবুজ পতাকা নাড়ানো ছাড়া স্টেশন মাস্টার হারান চন্দ্র মল্লিকের আর কোনো কাজ নেই সারা দিনে। গয়েশডাঙ্গা থেকে বদলি হয়ে আসার সময়েই এটা…
বসন্ত এসে গেছে!
অনেকক্ষণ ধরেই কলিংবেলটা বেজে যাচ্ছিল। ডেস্কে বসে আছি, সামনে খোলা ম্যাকবুক; মিটিং চলছে অফিসের। আজ শুক্রবার, ওয়ার্ক ফ্রম হোম করা যায় আমাদের অফিসে। ম্যানেজমেন্ট বলে দিয়েছে, কাজটা করে দিয়ে বিকেলে পাবে গিয়ে দু’ গ্লাস বিয়ার খেয়ে নিও। বিলটা পাঠিয়ে দিলে reimbursement হয়ে যাবে। কিন্তু ক্লায়েন্টের থেকে যেন কোনো কমপ্লেন না আসে। ওটা এলো কিন্তু আমি…
আমি আর আমার বালিশ
বিয়ের সইসাবুদ হওয়ার আগেই একটা অলিখিত চুক্তি হয়ে গেছিল শ্বশুরবাড়ির সাথে। যদি একটাও কোনো জিনিস এই বাড়িতে আসে তাহলে মেয়েকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে হবে। তবুও নিয়মের দোহাই দিয়ে দুটো বড় বড় বালিশ আর পাশবালিশ জোর করে আমার বাড়িতে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। হাজার প্রতিবাদ করেও কিছু করতে পারিনি। তবে আমার এই গল্প ওই বালিশগুলো নিয়ে নয়,…
বিশ্বরূপ মহারাজ
চাকরী জীবনের একদম প্রথম দিক, webel এ কাজ করছি মাস্টার্স শেষ করে। সাথে বড় হওয়ার জন্যে আরো কিছু পড়াশোনা করছি। হঠাৎ একজন খবর দিলো, শনি ও রবিবার কম্পিউটার শেখাতে হবে রামকৃষ্ণ মিশন বেলঘড়িয়াতে। ইন্টারভিউতে পাশ করলে তবেই মিলবে সুযোগ। কোনোভাবে সময় বের করে bio data জমা দিয়ে এলাম, একদিন খবর এলো ইন্টারভিউ এর। আজ এতো…