রামুকাকার গঙ্গাজল

রামুকাকা সবে সবে মানুষ হচ্ছে, মানুষ হচ্ছে মানে ওই social media র নাম শুনছে; একে ওকে জিজ্ঞেস করছে ফেসবুক আসলে কি? দেখতে কেমন? কি করে ওখানে সবাই সারাদিন, এইসব। ভাইপো বড় হয়েছে, স্কুল পাশ করবে আর দু’তিন বছরে। একটা মোবাইল পেয়েছে অনলাইন ক্লাসের জন্যে। সেখানেই রামুকাকার একটা অ্যাকাউন্ট খুলে দিয়েছে ফেসবুকে।

অ্যাকাউন্ট শুনেই রামু কাকা প্রথম প্রশ্ন করেছিলো, আমায় আবার এখানেও টাকা রাখতে হবে? পোস্ট অফিসে তো জমা দিচ্ছি। যাইহোক, ভাইপো বললো, এখানে উল্টে তোমার অ্যাকাউন্টে টাকা আসবে যদি তোমায় অনেকে পছন্দ করে। সেই জন্যেই বোধহয় একটা ছবিও তুলে নিলো! নিক গে যাক।

সমস্যা এখানে নয়, মুস্কিলটা হয়েছে অন্য জায়গায়। অনেকগুলো গ্রুপে না কিসে যেনো ভাইপো রামুকাকাকে ঢুকিয়ে দিয়েছে! একটা গ্রামের গ্রুপ যেখানে কত সব লোক আছে, সবাইকে চেনেও না, কস্মিনকালে দেখেও নি! আবার একটা গ্রুপ শুধু নাকি যারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে দুধ দেয় তাদের নিয়ে। কি যে আছে এই যন্তরটায়, কে জানে!

কিন্তু এইরকমই কোনো একটা গ্রুপে, বোধহয় রাজ্যের বাইরে অনেক দূরে, একটা খবর দেখে রামুকাকা থ! ওই দূরে বসে একজন পুজোর জন্যে গঙ্গাজলের খোঁজ করছে আর একজন নাকি এখান থেকে উত্তর দিয়েছে, আমি প্রত্যেকের বাড়ির দোরগোড়ায় গঙ্গাজল সাপ্লাই করি! রামুকাকা সেই থেকে আর ফেসবুক খোলে নি!

বি:দ্র: ভাইপো ফেসবুক খুলে সত্যি দেখেছে এইরকম একটা পোস্ট, তবে তারপর থেকে আমার সাথেও কথা বলছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.