বুকে হাত দিয়ে আজ বলতে পারি, জীবনের প্রথম দিকে অন্তত বছর দশেক অঞ্জলির পুরো মন্ত্রটা উচ্চারণ করতে পারিনি। কোনোরকমে সামলে দিয়েছি। একটু বড় হয়ে মানে বুঝে বলতে শিখেছিলাম বিশ্বরূপে বিশালাক্ষী বিদ্যাং দেহি নমস্তুতে আর ওই বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ।
মূর্তি পুজোর চল ছিল না বলে একটা সুন্দর ফটো কেনা হয়েছিল, আজও ঠাকুরের আসনে সেই ফটোই রাখা আছে। বেশ মনে আছে, আমার চুল সমেত ফটো পছন্দ হয়েছিলো। সেই ফটোতে আজ চুল খুব সামান্যই বেঁচে আছে – শ্যাম্পু স্পা না করে ঝরে গেছে বেশীরভাগটাই।
যদি ছোটবেলায় জানতাম, সরস্বতী পুজোর ঠাকুর মশাই পাওয়া আর বেনারসে চিকেন খালি পাওয়া একই রকম কষ্টকর, তাহলে পুজো করার আব্দারটা হয়তো কোনোদিনই করতাম না। পুরোহিতদের অনেক গুলো “না” শুনে যখন পরের দিন পুজো হবে কিনা সেই চিন্তায় সবাই ডুবে আছে, তখন একজন মধুসূদন দাদাকে পাওয়া গেলো। সেটাই তার প্রথম পুজো করা আর আমাদের বাড়ির শেষ পুজো অব্দি তিনিই করে গেছেন।
এর থেকে শিক্ষা নিয়ে, যখন পাড়ায় বা স্কুলে বা কলেজে সরস্বতী পুজোর আয়োজন করেছি, প্রতিমা কেনার আগে পুরুত ঠাকুর ঠিক করে রাখতাম।