বটের ঝুরি

যখন এই জমিটা কিনেছিলাম, অনেকেই বলেছিল – এখানে কিনছো বটকৃষ্ণ, কিছু নেই আশেপাশে সেটা দেখতে পাচ্ছ? আরে, খাবে কি? নোনা জলে তো আর পেট ভরবে না। তার চেয়ে বরং বাপু তুমি মন্দিরের পাশের অত বড় বাড়িটা নাও। নগদ পয়সায় নিলে ওরা ছেড়ে দেবে বলেছে। তারপর ধর্মশালা বানিয়ে দাও। তুমি ব্যবসায়ী মানুষ, আর আমায় কিনা শেখাতে…

ভাগ্যবানের ভাইফোঁটা

কথায় বলে, ঠকঠকালে হইবে কি, কপালে নেইকো ঘী। সার সত্যি কথা। তুমি যা চাইবে, সেটা পাবে না। যেটা বরং না হওয়াই ভালো, সেটা তোমার পেছন ছাড়বে না। কতো কতো উদাহরণ চাই বলুন দিকি? আমি নিজেই তো খান বিশেক দিতে পারবো, আপনারা সবাই এক জায়গায় হলে তো কথাই নেই। এই বলে ঘটিগরম বাবু থামলেন। এ হেন…

হারান মাস্টারের পাঠশালা

জেলার শেষপ্রান্তে এই বন্দিপুর রোড স্টেশন। লোকজনের খুব একটা যাতায়াত নেই এই রেললাইনে। কিন্তু কাছেই পলাশবীথি হাট বসে বলে দুটো মালগাড়ি দিনে থামে এখানে, একটা সকালে আর একটা মাঝরাতে। এই দু’বার বাইরে বেরিয়ে সবুজ পতাকা নাড়ানো ছাড়া স্টেশন মাস্টার হারান চন্দ্র মল্লিকের আর কোনো কাজ নেই সারা দিনে। গয়েশডাঙ্গা থেকে বদলি হয়ে আসার সময়েই এটা…