কলকাতায় থাকার সময় পাশের বাড়ির ঠাকুমা প্রায়ই ছাদে উঠে বলতে শুরু করতেন, বলি ও নাত বউ – বিয়ে তো কয়েক বছর হলো। আমি চোখ বোঁজার আগে একটু পুতির মুখ দেখে যাই। একটা গ্রাম্য সরলতা ছিল, সেই অপত্য স্নেহ থেকেই তিনি বলতেন – এটা জলের মত পরিস্কার। তাঁকে বোঝাবার চেষ্টা করিনি যে কিছু সিদ্ধান্ত আমরা দুজনে মিলে নিয়ে থাকি।
বরং; আমার আত্মীয়রা, কাছের বন্ধু বান্ধব, অথবা অফিসের কলিগরা কোনোদিন আমায় এটা জিজ্ঞেস করে বিব্রত করেনি। সেটা হয় উত্তর পাবে না জেনে কিংবা মুখের ওপর সত্যি কথাটা শুনতে হবে বলে।
যাই হোক, আজ এই মোমদানিটা বেশ পছন্দ হলো বলে কিনেই ফেললাম! ওই জমিদার বাড়িতে ঝাড়লন্ঠন যেমন দেখা যেত, এটা তার এক পিস ছোটো ভাই। কোনো একজন বিয়ের ঠিক দু’বছরের মাথায় মন্তব্য করেছিলেন, বংশে বাতি দেওয়ার আর তো কেউ থাকলো না! আমি বরং যাই একটা মোমবাতি কিনে আনতে, আপনি ততক্ষণ ছবিটা একটু জুম করে দেখে নিয়ে পরের পোস্টে মন দিন।